দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এবং ঔষধের নাম ২০২৫

দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নাম এবং দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম, অনেকেই আছে ইন্টারনেটে খোঁজ করে থাকেন দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নাম এবং দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম। কারণ অনেক সময় হঠাৎ করে দাঁতে ব্যথা দেখা দিতে পারে আগে জানতে হবে কি কারনে দাঁতের ব্যাথা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে দাতের ব্যথার ওষুধ খেতে হবে। অনেকেই দাঁতের ব্যথার জন্য অনেক রকম ওষুধ খেয়ে থাকে যেগুলো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।

অবশ্যই আপনাকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁতের ব্যথার সমস্যার সম্পর্কে তাকে বলতে হবে। এরপরে ডাক্তারকে কেন আপনার সমস্যাটি হয়েছে অথবা আপনি ডাক্তারকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন আপনার কি কারনে দাঁতে ব্যথা হচ্ছে। পরবর্তীতে চিকিৎসক আপনার ব্যথার ধরন অনুযায়ী ওষুধ সাজেস্ট করবে বা দাঁতের ব্যথার এন্টিবায়োটিক লিখে দিবে।

দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নাম

অনেক সময় ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা যাতে কিছু খেলে হঠাৎ করে দাঁত ব্যাথা শুরু করে। বিশেষ করে শীতের দিনে এই সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে তাই যদি আপনার হঠাৎ করে দাঁতের ব্যাথা শুরু হয় তাহলে প্রথমে আপনি অবশ্যই প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাবেন।  যদি এরপরে দাঁতের ব্যথা না কমে তাহলে অবশ্যই নিচের লিস্ট অনুযায়ী দাঁতের ব্যথার ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।

  • Fanamic 250 = ১২ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই ট্যাবলেট দিনে ৫ বার করে ৫ দিন খেতে হবে।
  • Fenamic 500 = যদি আপনার বয়স ১৮ হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন ২ বার করে ৩ দিন খেতে হবে।
  • Napa One = ১৮ বছরের নিচে হলে এই ট্যাবলেট অর্ধেক করে এবং ১৮ বছরের উপরে হলে ফুল ট্যাবলেট খেতে হবে দিনে ৩ বেলা করে।

যদি দাঁত ব্যথার জন্য উপরের ওষুধগুলো না কাজ করে তাহলে অবশ্যই আপনি নিছের ওষুধ গুলো খেতে পারেন। 

  • Tab-Tory 60 mg  = ১ করে ট্যাবলেট দিনে ২ বার খাওয়ার পরে।
  • Tab- Exilok 20 mg = ১ করে ট্যাবলেট দিনে২ বার খাওয়ার আগে।
  • Cap:- Moxacil 500 mg = ১ করে ট্যাবলেট দিনে ২ বার খাওয়ার পরে।
  • Tab: Amodis 400 mg = ১ করে ট্যাবলেট দিনে ২ বার খাওয়ার পরে।

যদি উপরের ওষুধগুলো খাওয়ার পরেও আপনার দাঁত ব্যাথা না কমে তাহলে অবশ্যই ভালো একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনার সমস্যার বিস্তারিত তথ্য দিন। যেকোনো ব্যথার ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম

আমাদের দেশে ব্যাথার অনেকগুলো ওষুধ আছে হালকা দাঁতের ব্যথার জন্য আমরা সাধারণত প্যারাসিটামল খেয়ে থাকি। কিন্তু যখন দাঁতে অতিরিক্ত ব্যাথা হয় তখন প্যারাসিটামল কাজ করে না সে ক্ষেত্রে আরও একটু ভালো মানের ওষুধ দাঁতের ব্যথার জন্য খেতে হবে। এছাড়াও দাঁতে হালকা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল অথবা কিটোরোলাক খাওয়া যায়।

সেই ওষুধগুলো দাঁতের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকারী তাই দাঁতের ব্যথার জন্য আপনারা চাইলে Etoricoxib 60 mg অথবা Etoricoxib 90 mg অথবা Etoricoxib 120 mg ট্যাবলেটটি খেতে পারেন। যদি দাঁতের ব্যথা অতিরিক্ত হয় তাহলে প্রথমে Etoricoxib 60 mg পাওয়ারের ওষুধটি খেতে পারেন। এর পরে যদি আপনার দাঁতের ব্যথা না কমে তাহলে আপনি ৯০ mg বা ১২০ mg এর ওষুধ খেতে পারেন।

যদি প্যারাসিটামল বা Etoricoxib এই ওষুধ দাঁতের ব্যাথা ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এই ওষুধগুলো ছাড়াও আরো অনেক প্রকার দাঁতের ব্যথার ওষুধ আছে যেগুলো দাঁতের ব্যাথা হলে খেতে পারবেন কিন্তু বা তার ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে।

দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক

দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই অনেক সময় ইনফেকশনের কারণে দাতের ব্যথা হয় তখন নরমাল ওষুধ খেলে কাজ করে না।  তখন আপনার প্রয়োজন পড়ে দাঁতের ব্যথার জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ। দাঁতের ইনফেকশনের সমস্যার জন্য সবচেয়ে বেশি এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক দাঁতের ব্যথার জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ গুলো ব্যবহার করা হয়।

যখন আপনার দাঁতে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন দাঁতের ভিতরে অংশ নষ্ট হয়ে যায়।  তখন সেখানে ইনফেকশন সৃষ্টি হয় এবং প্রচুর যন্ত্রণা হয়। সেই সময় সাধারণ ব্যাথার ওষুধ খাওয়ার পরও দাঁতের ব্যথা কমে না। এই ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য সেফুরক্সিম ৫০০/ ২৫০ মিলিগ্রাম এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মনে রাখবেন এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। কারণ এন্টিবায়োটিক ওষুধ বয়স এবং ওজনের উপরে ভিত্তি করে ডাক্তার একটি কোর্স দিয়ে থাকে সেই কোর্স মত এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়।

দাঁতের ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসা

দাঁতের ব্যাথা এমন একটি সমস্যা যা সহজে সহ্য করা যায় না। না খাবার খাওয়া যায় না ঠিকমত কথা বলা যায়। তাই অনেকেই আছেন ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পান তাই তারা প্রাথমিকভাবে প্যারাসিটামল বা নাপাকে থাকেন কিন্তু প্যারাসিটামল মাল নাপা খাওয়ার পরেও দাঁতের ব্যাথা কমে না। দাঁতের ব্যথার জন্য প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা প্রয়োগ করতে হবে তাহলে আপনি দাঁতের ব্যথার জন্য কিছুটা আরাম পাবেন।

  • এক গ্লাস গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মুখের ভেতরে নিয়ে কুলকুচি করুন যতক্ষণ সম্ভব। যদি কোন জীবাণু বা ইনফেকশন এর কারনে দাঁতের ব্যথা হয় তাহলে গরম লবণ পানি দাঁতের ব্যথা কমিয়ে দিবে।
  • সকলের বাসা বাড়িতেই রসুন থাকে তাই রসুনের একটি টেস্ট তৈরি করুন এবং তা দাঁতের গোড়াতে লাগান। রসুনের প্লেসটা একটু গন্ধ লাগলেও এটি দাঁতের ব্যথার জন্য খুব কার্যকরী কারণ রসুনের মধ্যে আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যা ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর।
  • যদি দাঁতের ব্যথার সাথে মারিফুল আর সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তোয়ালা বা রুমাল গরম করে সেঁক দিন।
  • এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু এবং লবণ মিশ্রিত করে মুখের ভিতরে দিয়ে কুলকুচি করুন তাহলে দাঁতের ব্যথা থেকে আরাম পাবেন।

শেষ কথাঃ

যদি উপরের নিয়ম গুলো মেনে ওষুধ খাওয়ার পরেও দাঁতের ব্যথা না কমে তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন। কারণ এই ওষুধগুলোর বাহিরেও আরো অনেক প্রকার ওষুধ আছে যেগুলো শুধু ডাক্তারের পরামর্শ খেতে হবে। আশা করি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জানতে পেরেছেন দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নাম এবং দাঁতের ব্যাথার ঔষধের নাম।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment