বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত ২০২৫

বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত, বাচ্চাদের জ্বর হলে সাধারণত তাদের বাবা-মা অস্থির হয়ে যান। কারণ শিশু বাচ্চাদের জ্বর হলে তারা বলতে পারেনা শুধু কান্না করে তাই বাচ্চাদের কান্না দেখে মা-বাবারা ঘাবড়ে যায়। বাচ্চাদের জ্বর সারানোর জন্য বাবা মারা উপায় খুঁজতে থাকেন কিভাবে বাচ্চাদের জ্বর সারানো যায়।

বাচ্চাদের জ্বর হলে অবশ্যই আপনাকে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর পরিমাপ করতে হবে। কারণ জ্বরের পরিমাপ অনুযায়ী কি ওষুধ খাওয়ানো যাবে সেই বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। তিন মাস থেকে এক বছরের বাচ্চাদের সাধারণত ঘন ঘন জ্বর আসে তাই বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত আমার এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন।

বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

যদি বাচ্চাদের জ্বর আসে তাহলে আমরা অভিভাবকগণ সাধারণত ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ায়ে থাকে। কিন্তু আমাদের উচিত হবে প্রথমে বাচ্চার জ্বর পরিমাপ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জ্বরের ওষুধ খাওয়ানো। কারণ অনেক সময় বাচ্চাদের জ্বর ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে থাকে তখন বাচ্চাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

তাই আমাদের উচিত হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বাচ্চাদের খাওয়ানো। বর্তমানে আমরা বাচ্চাদের জ্বর হলে সাধারণত ফার্মেসি থেকে নাপা, এইচ, ফাস্ট, রেনোভা এ সকল সিরাপ বাচ্চাদের খাওয়ায়ে থাকি।

যদি বাচ্চাদের ১০০ থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্র জ্বর হয়ে থাকে তাহলে আপনি ফার্মেসি থেকে প্যারাসিটামল গ্রুপের যে কোন একটি সিরাপ এনে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এতে করে আপনার বাচ্চার জ্বর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে। আর যদি ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বাচ্চার জ্বর আসে তা হল অবশ্যই আর দেরি না করে এন্টিবায়োটিক সিরাপ বাচ্চাকে দিবেন।

বাচ্চাদের জ্বরের সিরাপ

বর্তমানে গরমের সিজন থেকে শীতের সিজন পরিবর্তন হচ্ছে তাই বাচ্চাদের পশুর পরিমাণ ঠান্ডা জ্বর হচ্ছে। তাই আপনারা অবশ্যই বাচ্চাদের এই সিজন পরিবর্তনের সময় সব সময় বাচ্চাদের খেয়াল রাখবেন যেন কোনোভাবেই গরম এবং ঠান্ডা না লাগে। কারণ বাচ্চাদের বেশি গরম এবং বেশি ঠান্ডা লাগলে জ্বর চলে আসে তাই অবশ্যই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের যেন ঠান্ডা বা গরম না লাগে।

এরপরও যদি হঠাৎ করে বাচ্চাদের জ্বর এসে যায় তাহলে অনেকেই চিন্তিত হয়ে যায় কিভাবে বাচ্চার জ্বর ভালো করা যাবে। তাই আপনারা যারা বাচ্চাদের জ্বরের সিরাপ এর নাম জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের জ্বরের সিরাপের নাম নিচে প্রকাশিত হলো।

  • নাপা সিরাপ।
  • নাপা এক্সট্রা সিরাপ।
  • এইচ সিরাপ।
  • ফাস্ট সিরাপ।
  • রেনোভা সিরাপ।

বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ

যে সকল মা বাবারা বাচ্চাদের জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক সিরাপ খোঁজ করিতেছেন তারা সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আমার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিবো বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ এর নাম। তাই আর দেরি না করে আপনারা দেখে নিন বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপের নাম।

  • ওরসেফ এন্টিবায়োটিক সিরাপ। (Orocef)
  • সেফ-3 এন্টিবায়োটিক সিরাপ। ( Cef-3)
  • সেফ-3 MAX এন্টিবায়োটিক সিরাপ। ( Cef_3 MAX)
  • সেফ্রন এন্টিবায়োটিক সিরাপ। (Cefron)
  • জি-ম্যাক্স এন্টিবায়োটিক সিরাপ।  (Zimax)

উপরের অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপগুলো খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সিরাপ গুলো খাওয়াবেন। কারণ এন্টিবায়োটিক সিরাপ গুলো সাধারণত বয়স এবং ওজনের অনুযায়ী একটি ডোজ থাকে শুধুমাত্র ডাক্তারি বলতে পারবে কোন বাচ্চাকে কোন প্রকার ডোজ দিতে হবে।

যদি আপনার বাচ্চার প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ খেয়ে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জ্বর ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়াতে হবে। তাই অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন।

বাচ্চাদের জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত

বর্তমানে সিজন পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণ সর্দি কাশি এবং জ্বর হচ্ছে। তাই অনেক মায়েরাই জানতে চাচ্ছেন বাচ্চাদের জ্বর হলে কি খাওয়ানো উচিত? বাচ্চাদের জ্বর হলে অবশ্যই আপনি প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপা, ফাস্ট, রেনোভা এই সকল সিরাপ খাওয়াতে পারেন।

যদি বাচ্চাদের জ্বর হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চাদের অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ বেশি বেশি খাওয়াবেন। মায়ের বুকের দুধে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি তাই শিশুরা যদি মায়ের বুকের দুধ বেশি বেশি খায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি জ্বর ভালো হয়ে যাবে। বাচ্চাদের যদি জ্বর হয় তাহলে রসালো জিনিস বেশি বেশি খাওয়াবেন যেমন ডাবের পানি, আখের রস, মালটার রস, বেদানার রস, এই সকল জিনিস বেশি বেশি শিশু বাচ্চাকে খাওয়াবেন।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment