পিউরিসাল সিরাপ এর কাজ এবং খাওয়ার নিয়ম ২০২৫

পিউরিসাল সিরাপ এর কাজ ও খাওয়ার নিয়ম, আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি পোস্ট করব পিউরিসাল সিরাপ এর কাজ এবং খাওয়ার নিয়ম নিয়ে। তাই আপনারা যারা পিউরিসাল সিরাপের সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমার পোস্টটি পড়বেন।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড পিউরিসাল সিরাপ বয়স্ক ব্যক্তি ও ৬ বছর বা তদূর্ধো শিশুদের ব্রঙ্কোস্পাজম ও রিভারসিবল অবস্ট্রাকটিভ এয়ারওয়েজ ডিজিজের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে বাচ্চাদের জন্য ঠান্ডা জ্বর এবং কাশির চিকিৎসায় সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত পিউরিসাল সিরাপ কারণ এই সিরাপটি খুব দ্রুত বাচ্চাদের কাশি সারিয়ে তুলে।

পিউরিসাল সিরাপ এর কাজ এবং খাওয়ার নিয়ম

পিউরিসাল বয়স্ক ব্যক্তি ও ৬ বছর বা তদূর্ধো শিশুদের ব্রঙ্কোস্পাজম ও রিভারসিবল অবস্ট্রাকটিভ এয়ারওয়েজ ডিজিজের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ঠান্ডা জ্বর কাশির জন্য চিকিৎসকরা পিউরিসাল সিরাপ ব্যবহার করে থাকে। ব্রঙ্কোস্পাজম ও রিভারসিবল অবস্ট্রাকটিভ রোগের চিকিৎসা এই সিরাপটি খুবই কার্যকারী এই সিরাপ ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠান্ডা এবং কাশি ভালো হয়ে যায়।

পিউরিসাল সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিম্নলিখিত লেখাগুলো পড়তে হবে এই লেখাগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পিউরিসাল সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। তাই মনোযোগ সহকারে আপনি নিম্নলিখিত লেখাগুলো পড়তে পারেন।

পিউরিসাল সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

ঠান্ডা জ্বর এবং কাশিতে আক্রান্ত শিশু বাচ্চাদের কাশি ভালো করার জন্য অবশ্যই পিউরিসাল সিরাপ খাবেন। কারণ পিউরিসাল সিরাপ কাশি এবং ঠান্ডা জ্বরের জন্য ম্যাজিক এর মত কাজ করে।  আপনারা যারা পিউরিসাল সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জানেন না তারা অবশ্যই নিয়মগুলো দেখে নিন।

  • পিউরিসাল সিরাপ শিশুদের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত ৫ মিলিগ্রাম করে দৈনিক ৩ বার।
  • পিউরিসাল সিরাপ ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের ক্ষেত্রে প্রতিদিন  ৫-১০ মিলিগ্রাম দৈনিক ৩ বার।
  • যে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক অবশ্যই সেবন করবেন।

পিউরিসাল গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালের সময়

যদি কেবলমাত্র গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চার ঝুঁকির তুলনায় সম্ভাব্য সুবিধার পরিমান যদি বেশী হয় তবেই পিউরিসাল সিরাপ (লিভোসালবিউটামল) ব্যবহার করা উচিত। পিউরিসাল সিরাপ (লিভোসালবিউটামল) মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। দুগ্ধদানকারী মায়েদের পিউরিসাল সিরাপ (লিভোসালবিউটামল) গ্রহনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

গুরুতর অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা গ্রহন করা উচিত কারন হাইপক্সিয়া ও একই সাথে জ্যানথিন ডেরিভেটিভস, স্টেরয়েড এবং মূত্রবর্ধক ড্রাগ গ্রহনের দ্বারা এটি বৃদ্ধি পেতে পারে। এসমস্ত ক্ষেত্রে সিরামে পটাসিয়ামের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

সম্ভাব্য মাত্রাধিক্যের লক্ষণগুলো হচ্ছে অত্যাধিক বিটা-এড্রিনার্জিক স্টিমুলেশন ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় উল্লেখিত লক্ষণ সমূহ। গুরুতর পয়জনিং এর ক্ষেত্রে পেট খালি করা এবং প্রয়োজনে ব্রঙ্কোস্পাজম সম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে একটি বিটা ব্লকার দেওয়া উচিত।
থেরাপিউটিক ক্লাস

পিউরিসাল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পিউরিসাল এর সাথে অন্যান্য সর্ট অ্যাকটিং সিমপ্যাথোমিমেটিক ব্রঙ্কোডাইলেটর বা এপিনেফরিন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। যদি অতিরিক্ত এড্রিনার্জিক ড্রাগ গ্রহণ করা হয় তবে ক্ষতিকর কার্ডিওভাসকুলার ইফেক্ট এড়ানোর জন্য তা সতর্কতার সাথে গ্রহন করা উচিত। যাদের এই ঔষধ বা এর কোন উপাদানের প্রতিজ্ঞাত অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঔষধটি যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

  • হাইপোক্যালসিমিয়া।
  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।
  • অস্থিপেশীর সূক্ষ কাঁপুনি।
  • মাংশপেশীর সংকোচন হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • ডায়রিয়া হতে পারে।

পিউরিসাল সিরাপ এর দাম

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড পিউরিসাল সিরাপ ৫০ মিলি বোতলের দাম হচ্ছে ৩০ টাকা এবং ১০০ মিলি বোতলের দাম হচ্ছে ৪৫ টাকা।  পিউরিসাল সিরাপ যেকোনো ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানে পেয়ে যাবেন।

পিউরিসাল সংরক্ষণ নিয়ম

পিউরিসাল সিরাপ অবশ্যই আলো থেকে দূরে রাখতে হবে এবং ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করতে হবে এবং শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে। অবশেষ সকল ওষুধ শিশুদের নাগালে বাইরে রাখতে হবে। পিউরিসাল সিরাপ খোলার পরে সাত দিনের ভিতরে ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment